December 22, 2024, 10:23 pm

Latest Post:
হযরত উমর (রা.)-এর পবিত্রময় স্মৃতিচারণ হযরত আবু উবায়দা বিন জাররাহ্ (রা.)-এর পবিত্রময় স্মৃতিচারণের বাকী অংশ মহানবী (সা.)-এর বদরী সাহাবী হযরত আবু উবায়দা বিন জাররাহ্ (রা.)-এর পবিত্রময় স্মৃতিচারণ মহানবী (সা.)-এর বদরী সাহাবী হযরত বিলাল (রা.)-এর পবিত্রময় স্মৃতিচারণের ধারাবাহিকতা মহানবী (সা.)-এর বদরী সাহাবী হযরত বিলাল (রা.)-এর পবিত্রময় স্মৃতিচারণ মহানবী (সা.)-এর বদরী সাহাবীদের (রা.) ধারাবাহিক পবিত্রময় স্মৃতিচারণ মহানবী (সা.)-এর বদরী সাহাবীদের (রা.) ধারাবাহিক পবিত্রময় স্মৃতিচারণ শিয়া ও সুন্নীদের মধ্যকার মতভেদের মীমাংসায় যুগ ইমাম আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের বিশ্ব-প্রধানের সাথে দু’টি ভার্চুয়াল সভার সম্মান লাভ করলো লাজনা ইমাইল্লাহ্ হল্যান্ড মহানবী (সা.)-এর বদরী সাহাবীদের (রা.) ধারাবাহিক পবিত্রময় স্মৃতিচারণ
হাদীসে বর্নিত ৭২ / ৭৩ ফির্কা – সম্পর্কে

হাদীসে বর্নিত ৭২ / ৭৩ ফির্কা – সম্পর্কে

[ ইহুদী ৭২ / মুসলমান ৭৩ ফির্কা সংক্রান্তে মূল হাদীস ]
_______________________________________________

ইসলামে কে ? সত্যেত উপর অটল থাকবে! আরে সবাই তো বলে আমরা সত্যের উপর অটল আছি, কিন্তু কয়জনই বা প্রকৃত পক্ষে রাসুল (সা:) ও তাঁর সাহাবাদের মত মানিয়া চলে এর খুঁজ ও রাখে না !

এখন যদি প্রশ্ন করা হয় কারা সত্যের উপর আছে তার উত্তর এক বাক্যে হবে, যারা রাসুল (সা:) ও তাঁর সাহাবাদের মত অনুসরণ করে চলবে কেবল তারাই সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত।

‎عن عبد الله بن عمرو قال : قال رسول الله صلى الله عليه و سلم ليأتين على أمتي ما أتى على بني إسرائيل حذو النعل بالنعل حتى إن كان منهم من أتى أمه علانية لكان في أمتي من يصنع ذلك وإن بني إسرائيل تفرقت على ثنتين وسبعين ملة وتفترق أمتي على ثلاث وسبعين ملة كلهم في النار إلا ملة واحدة قالوا ومن هي يا رسول الله قال ما أنا عليه وأصحابي (سنن الترمذى-كتاب الايمان، باب ما جاء في افتراق الأمة، رقم الحديث-2641

আহমদী অনুবাদ :
_______________
অর্থ-হযরত আব্দুল্লাহ বিন আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূল (সাঃ) ইরশাদ করেছেন – ‘নিশ্চয় আমার উম্মতের উপরও সেই সকল অবস্থা আসবে যেইরূপ বনী ইসরাঈলীদের উপর এসেছিল।উভয়ের মধ্যে এক জুতার সহিত অপর জুতার ন্যায় সাদৃশ্য থাকবে, এমনকি তাদের মধ্য হতে যদি কেহ প্রকাশ্যে নিজ মাতার নিকট গমন করে থাকে, তাদ্রূপ আমার উম্মতের মধ্যেও এমন এক ব্যক্তি জন্ম গ্রহণ করবে, যে এইরূপ করবে। আর নিশ্চয় বনী ইসরাঈল ৭২ ফির্কায় / দলে বিভক্ত হয়েছিল, আমার উম্মত ৭৩ ফির্কায় বিভক্ত হবে। তাদের প্রত্যেকেই জাহান্নামে যাবে কেবল মাত্র একটি দল ব্যতীত।’ তাঁহারা (সাহাবাগণ বললেন,- “হে আল্লাহ্’র রাসূল ! সেই ফির্কাহ্ কোনটি ?” তিঁনি বললেন, আমি এবং আমার সাহাবাগণ যে পথে আছে সেই পথে যে ফির্কাহ্ থাকবে।”

( সুনানে তিরমিযী, কিতাবুল ঈমান )

গয়ের আহমদী অনুবাদ:
____________________

অর্থ-হযরত আব্দুল্লাহ বিন আমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-আমার উম্মত তা’ই করবে যা করেছে বনী ইসরাঈলের লোকেরা। এক জুতা অপর জুতার সমান হওয়ার মত। এমনকি যদি ওদের মাঝে কেউ মায়ের সাথে প্রকাশ্যে জিনা করে থাকে, তাহলে এই উম্মতের মাঝেও এরকম ব্যক্তি হবে যে একাজটি করবে। আর নিশ্চয় বনী ইসরাঈল ছিল ৭২ দলে বিভক্ত। আর আমার উম্মত হবে ৭৩ দলে বিভক্ত। এই সব দলই হবে জাহান্নামী একটি দল ছাড়া। সাহাবায়ে কিরাম জিজ্ঞেস করলেন-সেই দলটি কারা? নবীজী সাঃ বললেন-যারা আমার ও আমার সাহাবাদের মত ও পথ অনুসরণ করবে।
{সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-২৬৪১, আল মু’জামুল কাবীর, হাদীস নং-৭৬৫৯, আল মু’জামুল আওসাত, হাদীস নং-৪৮৮৯, কানযুল উম্মাল ফি সুনানিল আকওয়াল ওয়াল আফআল, হাদীস নং-১০৬০}

[ হাদীস টি হতে পাই বনি ইসরাঈলী ৭২ এবং মুসলমান ৭৩ ফির্কা হবে ]
________________________________________________
‎যেমন –

وَإِنَّ بني إسرائيل تَفَرَّقَتْ عَلَى ثِنْتَيْنِ وَسَبْعِينَ مِلَّةً،

বনী ইসরাইল সম্প্রদায় বায়াত্তর ফেরকায় বিভক্ত হয়েছিল

وَتَفْتَرِقُ أُمَّتِي عَلَى ثَلاَثٍ وَسَبْعِينَ مِلَّةً ،

আর আমার উম্মত অচিরেই তিয়াত্তর ফেরকায় (দল) বিভক্ত হয়ে যাবে।

كُلُّهُمْ فِي النَّارِ إ

তারা সবাই জাহান্নামী।

إِلاَّ مِلَّةً وَاحِدَة

একটি মাত্র দল ছাড়া
قَالُوا: وَمَنْ هِيَ يَا رَسُولَ اللهِ؟

তখন (সাহাবায়ে কেরামের পক্ষ হতে) রাসূলুল্লাহ্ (স:) কে জিজ্ঞাসা করা হল, ওই জান্নাতী দল কারা ?

قَالَ: مَا أَنَا عَلَيْهِ وَأَصْحَابِي

উত্তরে তিনি (সাঃ) বললেন, ‘মা আনা আলাইহি ওয়া আসহাবী’ তথা আমি এবং আমার সাহাবীগণ যেই মত ও পথে আছি এই মত ও পথের অবলম্বনকারীগণ-ই।

[ মুসলমান ৭৩ ফির্কা – বিতর্ক ও সমাধান 🙂
_____________________________________

হাদীসে –
1.

‎وَإِنَّ بني إسرائيل تَفَرَّقَتْ عَلَى ثِنْتَيْنِ وَسَبْعِينَ مِلَّةً، وَتَفْتَرِقُ أُمَّتِي عَلَى ثَلاَثٍ وَسَبْعِينَ مِلَّةً ،كُلُّهُمْ فِي النَّارِ إِلاَّ مِلَّةً وَاحِدَةً، قَالُوا: وَمَنْ هِيَ يَا رَسُولَ اللهِ؟ قَالَ: مَا أَنَا عَلَيْهِ وَأَصْحَابِي

অর্থাৎ বনী ইসরাইল সম্প্রদায় বায়াত্তর ফেরকায় বিভক্ত হয়েছিল আর আমার উম্মত অচিরেই তিয়াত্তর ফেরকায় (দল) বিভক্ত হয়ে যাবে। এদের একটি মাত্র দল ছাড়া অন্যান্য সবাই জাহান্নামী। তখন (সাহাবায়ে কেরামের পক্ষ হতে) জিজ্ঞাসা করা হল, ওই জান্নাতী দল কারা? উত্তরে তিনি (সাঃ) বললেন, مَا أَنَا عَلَيْهِ وَأَصْحَابِي ‘মা আনা আলাইহি ওয়া আসহাবী’ তথা আমি এবং আমার সাহাবীগণ যেই মত ও পথে আছি এই মত ও পথের অবলম্বনকারীগণ-ই (ওই জান্নাতী দল)।”

2.

– “তাফতারিকু উম্মাতি আলা ছালাছিউ ওয়া সাবঈনা ফিরকাতিন কুল্লুহুম ফিন্নার ইল্লা ওয়াহেদাতান ওয়াহিয়াল জামা’ত।” (মেশকাত)

অর্থাত, – মুসলমানরা ৭৩ দলে বিভক্ত হয়ে যাবে, একটি মাত্র জামাত ছাড়া অবশিষ্ট ৭২ ফিরকাই দোজখগামী হবে।

এখানে ‘তারা প্রত্যেকেই বা সবাই জাহান্নামে যাবে’ – এরা সবাই ফির্কা বা দলভূক্ত থাকবে। কিন্তু একটি মাত্র দল বা জামাত বাদে, তার মানে ৭৩ নয় বরং ৭২ এর প্রত্যেকেই জাহান্নামী হবে, কারণ পরের অংশের একটি মাত্র জামাত বাদে উল্লেখ করা হয় – এই বাদে কোন আরবি শব্দ এখানে আছে যার দ্বারা বুঝায় এই দলটি ৭৩ এর মধ্যেই ? তা হল إِلاَّ শব্দটি যা ৭৩ এর সহিত সম্পৃক্ত করে।

সুতরাং ৭৪ নাম্বার দল বলা যাবে বলে মনে হয় না এবং বল্লে তা সঠিক আদৌ কতখানি সঠিক তা বিচার্য।

কাজেই নীচের অংশের প্রকৃত ও সঠিক অনুবাদ কি ?

‎ یہی زمانہ ہے جس میں ہزارہا بدعات اور بے شمار ناپاک رسومات اور ہریک قسم کے شرک خدا کی ذات اور صفات اور افعال میں اور گروہ در گروہ پلید مذہب جو تہتر تک پہنچ گئے پیدا ہو گئے اور اسلام جو بہشتی زندگی کا نمونہ لیے کر آیا تھا اس قدر ناپاکیوں سے بہر گیا جیسے ایک سٹری ہوئی اور پر نجاست زمین ہوتی ہے۔
অর্থাৎ এই যামানাতেই দল উপদলে (বিভক্ত) অপবিত্র দল(গুলো) যা তিয়াত্তর পর্যন্ত পৌঁছে গেছে তাদের মধ্যে হাজার হাজার বিদয়াত আর অগণিত অপবিত্র কুসংস্কার এবং খোদাতায়ালার জাত, গুণাবলী ও কর্মে প্রত্যেক ধরণের শিরিক সৃষ্টি হয়ে গেছে। যেই ইসলাম বেহেশতী জিন্দেগীর নমুনা নিয়ে এসেছিল সেটি এ পরিমাণ অপবিত্রতা দ্বারা ভরপুর হয়েগেছে, যেমন নাকি (এটি) দুর্গন্ধযুক্ত ও ভরপুর অপবিত্র ভূমি! (রূহানী খাযায়েন খণ্ড নং ১৭ পৃষ্ঠা নং ২২৬)।

যদি অনুবাদ সঠিক হয় – তবে আমরা ৭৩ এর মধ্যে না বাহিরে ? এখানে একটি কথা স্পষ্ট যে ৭৩ দলই শিরখ বিদাত সহ অন্যান্য দোষ যুক্ত। তাহ হলে জামাতে আহমাদীয়া বাদ থাকল কোথায় – এর সঠিক উত্তর খুঁজতে হবে। সুলতান ভাই ৩ নং পয়েন্টে যে বলেছেন মসীহে মাউদ বলেন নি ৭৩ এর সবাই – এ কথাটি কতটুক সঠিক ?

পরের কথা হল –
“তিয়াত্তর (৭৩) সংখ্যায় পৌঁছে যাওয়া দলগুলোতে হাজার হাজার বিদয়াত আর প্রত্যেক প্রকারের শিরিক … সৃষ্টি হয়ে গেছে!”

আমার যুক্তিতে জবাব হল :
_______________________

1. বনী ইসরাইল সম্প্রদায় ৭২ (বায়াত্তর) ফির্কায় বিভক্ত হয়েছিল আর আমার উম্মত অচিরেই ৭৩ (তিয়াত্তর) ফির্কায় (দল) বিভক্ত হয়ে যাবে। এদের প্রত্যেকেই জাহান্নামে যাবে কেবল মাত্র একটি দল ছাড়া যারা, مَا أَنَا عَلَيْهِ وَأَصْحَابِي ‘মা আনা আলাইহি ওয়া আসহাবী’ অর্থাৎ – আমি এবং আমার সাহাবাগণ যে পথে আছে সেই পথে যে ফির্কাহ্ থাকবে।” এখান হতে এই কথা স্পষ্ট যে মুসলমানদের ৭৩ ফির্কা সকলেই জাহান্নামে যাবে। অপর পক্ষে, إِلاَّ তারা ব্যতিত যারা রসূল (স:) ও তাঁর সাহাবীদের মত একক জামাতভূক্ত হবে। এ দলটি জান্নাত যাবে কারণ তারা আলাদা একটি জামাত হবে যারা নবী করিম (স:) এর এবং তাঁর সাহাবীদের সুন্নতের উপর থাকবে, যা এই ৭৩ এর মধ্য হতেই হবে। অর্থাৎ সাহাবীগণ যে ভারে রসূল (স:) নিকট বয়াত করে এক জামাত ভুক্ত ছিলেন, অথচ অন্ধকার যুগে থেকেও অন্ধকার হতে মুক্ত এবং তাঁর মৃত্যুর পর খলিফাদের হাতে বয়াত করে এক জামাত ভুক্ত ছিলেন, সেই সুন্নত মত যারা খলিফার হাতে বয়াত করে এক জামাত ভুক্ত থাকবে এরাই সঠিক। কাজেই এই দলটি হবে ৭৩ মধ্য হতে মোমেনদের সংগ্রহিত জামাত যা নবুওয়তের কল্যাণে মোমেনদের পৃথক করে যে ভাবে ইসলামের প্রথম যুগের নবীর মাধ্যমে বেদুইন ও জাহেলদের মধ্যে হতে মুসলমানদের পৃথক করে। যেমন – নবুওয়তের কল্যাণে হযরত ( স:) আলাদা হলেও তিঁনি কুরাইশদের অন্তর্ভূক্ত ছিলেন এমনি কি তাঁর সাহাবীগণ ও সেই সমাজের ভিবিন্ন মতের অন্তর্ভূক্ত ছিলেন কিন্তু তাঁরা ইসলামে অন্তর্ভুক্ত হন – এতে ব্যক্তি একই থাকল কিন্তু কেবল মত বা আদর্শ পরিবর্তন হল। ঠিক তেমনি ৭৩ দলের অধিকারীদের মধ্য হতে যারা আলাদা হল তারা এর মধ্যেই আলাদা এক জামাতে পর্যবসিত হল। এর জন্য ৭৩ বহির্ভূত দল বা জামাত বলা যাবে না।

2. যেহেতু পূর্বের অংশে বনী ইসরাঈলের সংঙ্গে হুবহু এই উম্মতকে তুলনা করা হয়েছে কাজেই নষ্ট দল গুলি ৭২ ই হবে কারণ বনী ইসরাঈলী ৭২ ফির্কাই নষ্ট হয়ে যায় । রসূল (স:) এই উম্মতকে ইহুদীদের সহিত জুতায় জুতায় মিল বলেছেন – যেমন পুরো হাদীসটি –

‎عن عبد الله بن عمرو قال : قال رسول الله صلى الله عليه و سلم ليأتين على أمتي ما أتى على بني إسرائيل حذو النعل بالنعل حتى إن كان منهم من أتى أمه علانية لكان في أمتي من يصنع ذلك وإن بني إسرائيل تفرقت على ثنتين وسبعين ملة وتفترق أمتي على ثلاث وسبعين ملة كلهم في النار إلا ملة واحدة قالوا ومن هي يا رسول الله قال ما أنا عليه وأصحابي (سنن الترمذى-كتاب الايمان، باب ما جاء في افتراق الأمة، رقم الحديث-2641
_______________
অর্থ-হযরত আব্দুল্লাহ বিন আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূল (সাঃ) ইরশাদ করেছেন – ‘নিশ্চয় আমার উম্মতের উপরও সেই সকল অবস্থা আসবে যেইরূপ বনী ইসরাঈলীদের উপর এসেছিল।উভয়ের মধ্যে এক জুতার সহিত অপর জুতার ন্যায় সাদৃশ্য থাকবে, এমনকি তাদের মধ্য হতে যদি কেহ প্রকাশ্যে নিজ মাতার নিকট গমন করে থাকে, তাদ্রূপ আমার উম্মতের মধ্যেও এমন এক ব্যক্তি জন্ম গ্রহণ করবে, যে এইরূপ করবে। আর নিশ্চয় বনী ইসরাঈল ৭২ ফির্কায় / দলে বিভক্ত হয়েছিল, আমার উম্মত ৭৩ ফির্কায় বিভক্ত হবে। তাদের প্রত্যেকেই জাহান্নামে যাবে কেবল মাত্র একটি দল ব্যতীত।’ তাঁহারা (সাহাবাগণ বললেন,- “হে আল্লাহ্’র রাসূল ! সেই ফির্কাহ্ কোনটি ?” তিঁনি বললেন, আমি এবং আমার সাহাবাগণ যে পথে আছে সেই পথে যে ফির্কাহ্ থাকবে।”

( সুনানে তিরমিযী, কিতাবুল ঈমান )

কাজেই হাদীস ইংগিত করে বনী ইসরাঈলীদের সমান সমান ৭২ টিই জাহান্নামী। কারণ এখানে স্পষ্ট ৭২ জুতায় জুতায় মিল হবে ১ টি বাদে।

3. অজ্ঞ ও মূর্খ লোকের কাছে দূরের কুয়াশাকে দেখে আগুন মনে হয় – এই রূপ যারা তাকওয়াশীল নয় তাদের নিকঠ ৭৩ ফির্কা কি হবে এবং কি অর্থে তা পরিস্কার ও বোধগম্য হবে না। আরবিতে ৭ / ৪০ / ৭২ / ৭৩ / ১০০ এই সংখ্যা গুলি বাগধারা হিসাবে ব্যবহৃত হয়। পবিত্র কুরআনে আছে, যেমন – مَّثَلُ الَّذِينَ يُنفِقُونَ أَمْوَالَهُمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ كَمَثَلِ حَبَّةٍ أَنبَتَتْ سَبْعَ سَنَابِلَ فِي كُلِّ سُنبُلَةٍ مِّائَةُ حَبَّةٍ ۗ وَاللَّهُ يُضَاعِفُ لِمَن يَشَا অর্থ – ‘যারা আল্লাহর রাস্তায় স্বীয় ধন সম্পদ ব্যয় করে, তাদের উদাহরণ একটি বীজের মত, যা থেকে সাতটি শীষ জন্মায়। প্রত্যেকটি শীষে একশ করে দানা থাকে।’ ( সূরা বাকারা – ২৬২ ) সুতরাং আমরা যদি এই অর্থে বিচার করি তবে যে বিষয়টি আমাদের নিকট পরিস্কার হয়, তা হল মির্যা সাহের ইমাম মাহদী দাবী করেন ৪০ বছর বয়স হওয়ার পর। কিন্তু ৪০ বছর পূর্ন হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তিনি এই সমাজের আকিদার মধ্যেই বসবাস করেন এমন কি মাহদী দাবী করার পরও এই সমাজের আলেমের পেছনে নামাজ পড়া পর্যন্ত বন্ধ করেন নি – কিন্তু যখনই এই সমাজের আলেমগণ তাঁকে কাফের ফতোয়া দিল তার পর হতে আর এদের পিছনে আহমদীরা নামাজ পড়ে না, কিন্তু এখানে কথা হল ফতোয়ার পূর্ব পর্যন্ত মির্যা সাহেবের জামাত অপরাপরদের সহিতই ছিল। কেবল ফতোয়ার কারণে তাঁর অনুসারীরা যারা ৭৩ দলের অংশ ছিল, সেই লোক গুলিকে বের করে একটি দল বা ফির্কা হতে পরিবর্তন করে জামাতে রুপ দেন, এবং এর নাম রাখেন ‘আহমদীয়া মুসলিম জামাত’। সুতরাং এখানে দল অন্যান্য মুসলমানগণ ৭২ ফির্কায় রহিল অপর পক্ষে মির্যা সাহেবের ১ দল ‘আহমদীয়া মুসলিম জামাত’ নামে জামাতেই রুপ লাভ করল। এতে ফির্কা ৭২ একদিকে চলে গেল অপরপক্ষে ১ টি জামাত তাদের হতে আলাদা হয়ে গেল। এই জামাত’ই হল, ‘আহমদীয়া’ যা “আহলে সুন্নাত আল জামাত।” – এ ছাড়া আর কোনটিতেই সুসংগঠিত জানাত রূপে পাওয়ার যায়নি।

4. হাদীসে আছে মুসলমানরা ৭৩ দল হবে – বর্তমানে নীচে ১৩৫ টি দলের নাম দিলাম। যদি ৭৩ সংখ্যাটা ১৩৫ হতে বেশি হয় তবে কেউ কি আপত্তি করতে পারবে – (নাউযুবিল্লাহ্) নবী সংখ্যার ব্যাপারে যা বলেছেন তা সঠিক নয় বা মিথ্যা! যদি তা না হয় তবে সংখ্যা ৭৩ এখানে অনেক দল অর্থেই ব্যবহার হয় – এই অনেক যাই হোক না কেন তা ৭৩ ই হবে। এখন দলগুলি হল – শিয়া মতবাদকে কেন্দ্র করে – ইশনে আশারা, ইসমাইলীয়া, কারমাতিয়া,বাতিলিয়া, বাতিনিয়া, তালিমিয়া, মুস্তালিয়া, নিজারিয়া, কায়সানিয়া, নুছায়িরি, খারেজী,

সুন্নি মতবাদকে কেন্দ্র করে – হানাফী,মালেকী ,শাফেয়ী,হাম্বলী, ওহাবী।

মিশর হতে – সিন্নাবীয়া, মারাজিকা,কান্নাছিয়া, আনবাবিয়া, হাম্মুদিোয়া, মানাইফিয়া, ছাল্লামিয়া, হালাবিয়া, জাহেদিয়া, শুয়াইবিয়া, তাছলিয়ানিয়া, আাবাহিয়া, মুতুহিয়া, বুন্দারিয়া, শুরুনবুলালিয়া, বাউমিয়া, আদাহমিয়া।

ইয়েমেন হতে – কুবরাবিয়া, আয়দারুসিয়া, আম্মাবিয়া।

আলজিরিয়া হতে – আল্লাবিয়া, আকবারিয়া, হাতেমিয়া।

তিউনিসিয়া হতে – ইছাবিয়া, আউআমেবিয়ি, আজজুজিয়া।

তুরস্ক হতে – বাবাইয়া, বায়বামিয়া, হামজারিয়া, শায়খিয়া, হিম্মাতিয়া।

সুদানে হতে – বাক্কাইয়া, ফাদালিয়া, সিদিয়া।

আলবেনিয়া হতে – তাছিকহিয়া, বিবারিয়া,সিলিসিয়ায়।

মরক্কো হতে – বুনুহিয়া,দারকাওয়া।

পারস্য হতে – জাহাবিয়া।

তুরস্ক হতে – জালওয়াতিয়া, হাশিমিয়া, রওশনিয়া, ফানাইয়া, হুদাইয়া, জাররাহিয়া, খালওয়াতিয়া।

চীন হতে – জাহাবীয়া।

মরক্কো হতে – জাবুলিয়া, হামাদিশা, ইসাবিয়া, শারকাওয়া, তাইবিয়া।

বাগদাদ হতে – জুনাদিয়া।

কাশ্মীর হতে – হামাজানিয়া।

খোরাশান হতে – মালামাতিয়া।

আফগানিস্তানে – পীর হাজাত।

ইরাক হতে – রিকাইয়া।

জাভা সুমাত্রায় – ছাত্তারিয়া।

ইউনুছিয়া, উলুউয়ানিয়া, তাববাইয়া, সিদ্দিকিয়া, শাজিলিয়া, নবুবিয়া, নিমাতাল্লাহিয়া, মুরাদিয়া, মুহাছিবিয়া, কুশাইরিয়া, কুনিয়াবিয়া, খামুছিয়া, মাদানিয়া,হুলমানিয়া, হাবিবিয়া, হাকিমিয়া, হাফনাবিয়া,হায়দারাবিয়া, গুরুজমার, গাজিয়া, গাজ্জালিয়া, গাউছিয়া, ফেরদৌসীয়া।

মাওলানা রুমীকে কেন্দ্র করে – মাওলবীয়া, পুস্তনিশিয়া, ইরশাদিয়া, দাউদী, সোলায়মানিয়া, বোহরা, মেমন, ফারাইজিয়া, নুরবকশীয়া, কায়সানী, ইবাদি, মুরজি, দুরুজ, তিজানী, কাদেরিয়া, চিশতিয়া, নকশবন্দিয়া, মোজাদ্দেদীয়া, সোহরাবর্দিয়া, আই এস আই এস।

এ ছাড়া ভারত উপমহাদেশে – আহলে কুরআন, আহলে হাদীস,জায়দীয়া, দেওবন্দী, বেরেলবী, তাবলিগী, জামাতে ইসলামি,লস্করে তায়েবা, আল কায়দা, শরশীনা, চরমোনাই, দেওয়ানবাগী, জমিয়তে উলামা, হেফাজতে ইসলাম, মারকাজুল ইসলাম, তরীকতে ইসলাম, হিজবুত তাওহীদ, ইত্যাদি ।

মোট – ১৩৫ টি উল্লেখ করলাম, এছাড়া ও আরো অগণিত সংখক দল আপনাদের জানার মধ্যে পাবেন। বর্তমানে এরকম আকিদাগত জামাত বা দল ২০০ এর নিচে হবে না। সুতরাং দল যাই হোক তা বহু দল অর্থে ৭৩ এর অন্তর্ভূক্ত কি না ?

5. নুরুন নবী সাহেব নিজেই বলেছে, যেমন – ফেরকা (উপদল) এক জিনিস আর ‘মানহাজ‘ (কতেক নিজেস্ব বৈধ নিয়মাবলী) আরেক জিনিস। যেমন, দেওবন্দি, আহলে হাদিস, বেরলবি, জামাতে ইসলামি ও সালাফি ইত্যাদি এগুলো একেকটা ‘মানহাজ’ বটে কিন্তু ফেরকা নয়। কেননা ইসলামের শাখাগত কিছু বিষয়ে এদের মাঝে মতপার্থক্য থাকলেও মৌলিক বিষয়ে সবাই এক ও অভিন্ন। এককথায় এরা সবাই আহলে সুন্নাহ’র-ই অন্তর্ভুক্ত। পক্ষান্তরে ইসলামের মৌলিক বিশ্বাসে মতপার্থক্য দ্বারাই “ফেরকা” সৃষ্টি হয়। যেমন – শীয়া ইছনা আশারিয়া বা রাফেজি, খারেজি, মু’তাজিলা, কাদরিয়া, মুজাচ্ছিমা, মুশাব্বিয়া ইত্যাদি।

এখানে সে রসূলের কথা সত্যে প্রমাণ করার জন্য কতক দলকে উপদলে একত্রিত করে এক দল বানানোর চেষ্টা করছে কারণ তা না হলে মূল হাদীসটির মিথ্যা সাব্যস্ত করা হয়। – নূরুন নবীর সূত্র ধরে যদি বলি ইমাম মাহদী যখন তাঁর দাবী করেন তখন তিঁনি সত্যবাদীদের নিয়ে পৃথক হন এই ৭৩ হতেই, পরন্ত তাদের মধ্য কতক দল মিলে গিয়ে ৭২ এই পর্যবসিত হয় কারণ ইমাম মাহদী ৭৩ এর সংশোধনের জন্যই আসবে। আলাদা কোন দল আকাশ হতে বা ভুল গ্রহ হতে নিয়ে আসবেন না। তাই নুরুন নবীর কথার সাথে মিলালে হযরত মির্যা সাহেবের কথা “এই যামানাতেই দল উপদলে (বিভক্ত) অপবিত্র দল(গুলো) যা তিয়াত্তর পর্যন্ত পৌঁছে গেছে” – এতে উপদল গুলি এক হলে দল কমে আসে কি না ? এখন হাদীস কোথাও বলা নাই কোনটি দল এবং কোনটি উপদল। সুতরাং নুরুন নবী তার নিজের ব্যাখ্যা থেকে বেডিয়ে আর ৭৪ তম দল বলার অধিকার রাখে না।

6. ইমাম মাহদী (আ:) আসবেন মুসলমানদের মধ্যেই ৭৩ নষ্ট হবে বলেই আসবে এদের সংশোধনের জন্য। তাই তিনি কাদের সংশোধন করবেন ? ৭৩ দলের কোন ১ দলের না না পুরো ৭৩ দলের লোকদের ? যদি সবার হয়, তবে তিঁনি বাহিরে নয় এবং বাহির হতেও নয় বরং তিঁনি এদের মধ্য হতে আসবেন এবং এখান হতেই মোমেনদের নিয়ে এমন একটি দল সৃষ্টি করবেন যা অপর দল গুলিকে ৭২ এ পরিণত করবে এবং তাঁর দলকে আলাদা এক দলে পরিণত হবে – কারণ তিঁনি ৭৩ দলের বাহিরে – ইহুদী, খৃষ্টান, বৌদ্ধ এমন কি কোন হিন্দু পরিবার বা সম্প্রদায় হতে আসবেন না বা আসেন ও নি। যেহেতু তিঁনি অন্য কোন সম্প্রদায় হতে আসেন নি তাই তিঁনি ৭৩ই অন্তর্ভূক্ত হতে এসে তাদের সংশোধন করবেন। আর এই সংশোধিতরা ১ দল বা জামাতে পরিণত হবে এবং বাকীরা ইহুদীদের ন্যায় ৭২ দলে পরিণত হবে। ন্যায় শব্দটি কেন ? এর উত্তর হল – ইহুদীরা যেমন আলাদা হলে ও সবাই এক হয়ে ঈসা (আ:) এর বিরোধিতা করেছিল – এখানে ঠিক তারা তাই করবে। এ কথা তাই প্রমাণ করে তারা দল যাই হোক তারা ৭২ দলে পরিণত হবে এবং তারা সত্যের বিরুদ্ধে এক হবে – নুরুন নবী তা স্বীকার করেছে, এই সকল মিথ্যাবাদী এক হলেও নাকি মুসলিম উম্মা হয় – নাউজুবিল্লাহ্। যেমন নরুন নবীর বক্তব্য – “রাসূল (সাঃ) তিনি তাঁর উম্মত সম্পর্কে অনেক আগেই বলে গিয়েছেন যে, তাঁর উম্মত সবাই এক সঙ্গে কখনো ভুলের উপর ঐক্যবদ্ধ হবেনা! (তিরমিযী) সেই উম্মতের তিয়াত্তর (৭৩) দলই তাদের (কাদিয়ানিদের) কাফের আখ্যা দিয়ে প্রমাণ করলো যে, উম্মতের অন্তত এই ফতুয়া ভুলের উপর ছিল না!” – এখানে ৭৩ দলই তাদের ( কাদিয়ানিদের) কাফের আখ্যা দিয়ে প্রমাণ করলো যে, উম্মতের অন্তত এই ফতুয়া ভুলের উপর ছিল না” – এই কথাটি তার শিরকি আকিদা। কারণ রসূলের যুগে অপরাপর সকল ধর্মের লোক তাঁকে (স:) কাফের আখ্যা দিয়ে এই কথা প্রমাণ করেনি যে, রসূল (স:) এর দল মিথ্যা ছিল – নাউযুবিল্লাহ্। বরং রসূল (স:) এই ৭২ কে নিজের উম্মতই স্বীকার করবেন না, এদের বলেছেন ‘উলামাহুম শাররুম’ অর্থাৎ তাদের উলামা বা মানুষের বানানো উলামা। – কুরআন ও এদের দুস্কৃতিকাবী বলেছে ( সূরা নূর -৫৬)। কাজেই ৭৩ এক হয়ে মাহদীকে বা ৭২ দল এক হয়ে মাহদীর জামাতকে কাফের বললে মাহদী / মাহদীর জামাত কাফের হয়ে যাবে এই আকিদা একটি কুফরী আকিদা। কাজেই এখানে ফতোয়াবাজরা ‘মিল্লাতে ওয়াহেদা’ নয়।

7. বনী ইসরাঈলীরা ৭২ ফির্কা হয়েছিল – এই ৭২ ফির্কার মধ্যে হযরত ঈসা (আ:) ও তাঁর জামাত ছিল কি না ? যদি থাকে তবে এই ৭২ এর মধ্যে হতে ঈসা (আ:) এর জামাত সঠিক ছিল কি করে ? একই ভাবে ইমাম মাহদী (আ:) এর জামাত ৭৩ এর মধ্য হতে হবে এবং কেবলমাত্র পবিত্রদের আলাদা করে ইসলামের ৭৩ এর মধ্যেই অন্তর্ভূক্ত হবেন – কোন অপর কোন সম্প্রদায়ের অন্তর্ভূক্ত হবেন না – এই হল ৭৩ এর মূল রহস্য।

8. আর হযরত মির্যা সাহেব নিজেও তাঁর জামাত’কে কখন ও ৭৩ এর বাহিরে বলেন নি এমন কি তিঁনি অন্যদের মধ্য হতে এসেছেন এ কথা ও বলেন নি। বরং তার দাবী হল – ‘ইমামুকুম মিনকুম’। ঘরে মধ্যে হতে তিঁনি ঘর সংশোধন করার জন্যই এসেছেন।

9. হযরত মির্যা তাহের আহমদ (রাহ:) যে বিষয়টি তাঁর এক লেকচারে উপস্থাপন করেন তা হল – অপর ফির্কা সমূহকে যখন এককভাবে বলা হয় তোমরা কোন ফির্কা তখন সবাই বলে আমরা ৭৩ তম ফির্কা কেহই নিজেদের ৭২ ফির্কার অন্তর্ভূক্ত বলে না। আবার যখন আহমদীদের বিরোধীর প্রসঙ্গ আসে তবে বলে আমরা সবাই এক এবং নিজেদের মুসলিম উম্মা বলে পরিচয় দেয় – এ হতে বুঝা যায় তারা নিজেরাই একে অন্যকে ৭২ দলভূক্ত হওয়ার সার্টিফিকেট দিয়ে রেখেছে, সুতরাং এই কথা স্পষ্ট তারা যদি নিজের দেওয়া ফতোয়ায় ৭২ হয় – তবে আহমদীরা ৭৩ তম এতে কোন সন্দেহ নাই। অপর পক্ষে যে কায়দায় তারা ৭২ মধ্যে হওয়া সত্বেয় ৭৩ তম দাবী করে ঠিক একই সুত্রে ৭৩ টি দল হতে মোমেনদের বাচাই করে ইমাম মাহদী নিজের দলটিকে আলাদা করেন – যা কেবল মাত্র অপরাপর সবার একত্রিত হওয়ার মধ্যে দিয়ে ৭৩ তম হিসাবে রূপ লাভ করে। যেমন অন্যভাবে বিষয়টি বলা যায় – ক) ইমাম মাহদী (আ:) দলের দিক থেকে শেষে হওয়ার কারণে তিনি ৭৩ তম দল হিসাবে জ্ঞাত হবেন। খ) ৭৩ দলের মধ্যেই তিনি আসবেন এবং তাঁর দলটিকে তিঁনি শিরক বিদাতের উর্ধে এনে আহলে সুন্নাত আল জামাতে পরিণত করবেন। এবং হয়েছেন তাই।

অন্যতায় বিরূদ্ধবাদীদের রসূলের (স:) হাদীসটিকে মিথ্যা সাব্যস্থ করতে হবে – কারণ এখন মুসলমান দাবীকারকদের মধ্যে দল ১৩৫ এরও উপরে। সুতরাং দল যাই হোক হাদীস মতে তা ৭৩ এর অন্তরভূক্ত- ই হবে। দল ভেঙ্গে উপদল হলে তা দলেরই অন্তর্ভূক্ত হবে।

বাকী রইল পাক্ষিক আহমদীতে লেখা প্রসঙ্গ জনাব মুহাম্মদ নুরুজ্জাম কুরআন হাদীস বা মসীহে মাউদ (আ:) অথবা তাঁর কোন খলিফার লেখনি হতে সংগ্রহ করছেন কি না – তা প্রমাণ হয়তো তাঁর নিকট থাকতে পারে – অন্যতায় বিষয়টি ব্যাখ্যা প্রয়োজন – আমরা নিজেদের ৭৪ তম দল বা জামাত বলতে পারি কি – না। সম্পাদক সাহেবের চোখে আদৌ বিষয়টি পড়ল কি না, বা তার জ্ঞাতসারে হলে নিশ্চয় কোন দলিল প্রমাণ বা যুক্তি থাকতে পারে। তবে বিষয়টিতে যেহেতু – “এই যে তেয়াত্তর দল, এই তেয়াত্তর দলই আহমদীয়া মুসলিম জামাতকে কাফের বলে গণ্য করে” – বিষয়টি বর্তমান তাই আমরা আমাদের ৭৩ এর বাহিরে মনে করব কি না প্রশ্ন ? – কিন্তু আমার মনে হয় এই বিষয় গুলি মূল আকিদাগত বিষয় বিধায় যে কেহ বিবাদ এড়াতে কুরআন হাদীস ও যুগ ইমামদের সিদ্ধান্ত মিলিয়ে দেখা প্রয়োজন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




This site is not the official site of Ahmadiyya Muslim Jamat. This site has been created by a follower of Hazrat Imam Mahdi (PBUH) only for share the message of Mahdi(pbuh)
আহমদীয়া মুসলিম জামাত সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে Alislam.org