December 25, 2024, 8:47 am

Latest Post:
হযরত উমর (রা.)-এর পবিত্রময় স্মৃতিচারণ হযরত আবু উবায়দা বিন জাররাহ্ (রা.)-এর পবিত্রময় স্মৃতিচারণের বাকী অংশ মহানবী (সা.)-এর বদরী সাহাবী হযরত আবু উবায়দা বিন জাররাহ্ (রা.)-এর পবিত্রময় স্মৃতিচারণ মহানবী (সা.)-এর বদরী সাহাবী হযরত বিলাল (রা.)-এর পবিত্রময় স্মৃতিচারণের ধারাবাহিকতা মহানবী (সা.)-এর বদরী সাহাবী হযরত বিলাল (রা.)-এর পবিত্রময় স্মৃতিচারণ মহানবী (সা.)-এর বদরী সাহাবীদের (রা.) ধারাবাহিক পবিত্রময় স্মৃতিচারণ মহানবী (সা.)-এর বদরী সাহাবীদের (রা.) ধারাবাহিক পবিত্রময় স্মৃতিচারণ শিয়া ও সুন্নীদের মধ্যকার মতভেদের মীমাংসায় যুগ ইমাম আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের বিশ্ব-প্রধানের সাথে দু’টি ভার্চুয়াল সভার সম্মান লাভ করলো লাজনা ইমাইল্লাহ্ হল্যান্ড মহানবী (সা.)-এর বদরী সাহাবীদের (রা.) ধারাবাহিক পবিত্রময় স্মৃতিচারণ
মহানবী (সা.)-এর বদরী সাহাবীদের (রা.) ধারাবাহিক পবিত্রময় স্মৃতিচারণ

মহানবী (সা.)-এর বদরী সাহাবীদের (রা.) ধারাবাহিক পবিত্রময় স্মৃতিচারণ

নিখিলবিশ্ব আহমদীয়া মুসলিম জামাতের বর্তমান খলীফা সৈয়্যদানা হযরত আমীরুল মুমিনীন খলীফাতুল মসীহ্ আল-খামেস (আই.) গত ২১ আগস্ট ২০২০ ইসলামাবাদ, টিলফোর্ডের মসজিদে মোবারক থেকে প্রদত্ত জুমুআর খুতবায় মহানবী (সা.)-এর বদরী সাহাবীদের স্মৃতিচারণের ধারাবাহিকতায় হযরত যুবায়ের বিন আওয়াম (রা.)-এর পবিত্রময় স্মৃতিচারণ করেন।


হুযূর (আই.) তাশাহহুদ, তাআ’ব্বুয ও সূরা ফাতিহা পাঠের পর বলেন, বদরী সাহাবীদের স্মৃতিচারণের ধারাবাহিকতায় আজ যেই সাহাবীর স্মৃতিচারণ করা হবে তার নাম হযরত যুবায়ের বিন আওয়াম। তার পিতার নাম আওয়াম বিন খুওয়াইলিদ এবং মাতার নাম সাফিয়া বিনতে আব্দুল মুত্তালিব, যিনি মহানবী (সা.)-এর ফুফু ছিলেন। কুসাই বিন কিলাব হযরত যুবায়ের ও মহানবী (সা.)-এর অভিন্ন পূর্বপুরুষ ছিলেন। তিনি উম্মুল মুমিনীন হযরত খাদিজা (রা.)-এর ভাতিজাও ছিলেন। হযরত আবু বকর (রা.)-এর কন্যা আসমা বিনতে আবু বকরের সাথে তার বিয়ে হয়েছিল; এদিক থেকে তিনি মহানবী (সা.)-এর ভায়রাও ছিলেন। মহানবী (সা.)-এর সাথে তার বিভিন্ন রকম আত্মীয়তা ছিল। তার ডাকনাম ছিল আব্দুল্লাহ্। তিনি হযরত আবু বকরের পর ইসলাম গ্রহণ করেন, তিনি ইসলামগ্রহণকারী চতুর্থ বা পঞ্চম ব্যক্তি ছিলেন। ইসলামগ্রহণের সময় তার বয়স ছিল মাত্র ১২ বছর; অপর কতক বর্ণনায় ৮ বছর বা ১৬ বছরের উল্লেখও দেখা যায়।

তিনি আশারায়ে মুবাশশারা অর্থাৎ সেই দশজন সাহাবীর একজন ছিলেন, যাদেরকে মহানবী (সা.) জীবদ্দশাতেই জান্নাতের সুসংবাদ প্রদান করেছিলেন। হযরত উমর (রা.) তার মৃত্যুশয্যায় পরবর্তী খলীফা নির্বাচনের জন্য যে কমিটি গঠন করে যান, হযরত যুবায়ের তার ছয়জন সদস্যের একজন ছিলেন।
শৈশবে তার পিতা আওয়ামের মৃত্যু হলে তার চাচা নওফেল বিন খুওয়াইলিদ তার অভিভাবকত্ব গ্রহণ করে। হযরত যুবায়েরের মা হযরত সাফিয়া তাকে খুব কঠোর শাসনের মধ্য দিয়ে লালন-পালন করতেন, এটি নিয়ে একদিন তার চাচা আপত্তি করে। হযরত সাফিয়া কাব্যের মাধ্যমে তার আপত্তির জবাব দেন এবং বলেন, আমি এজন্য তার প্রতি কঠোরতা করি যেন সে বড় হয়ে সাহসী ও বীর হয়। প্রাসঙ্গিকভাবে হুযূর (আই.) এ-ও বলেন, তরবিয়তের এই পদ্ধতিটি সঠিক নয়, কেননা এতে শিশুর আত্মবিশ্বাস কমে যায়; তবে যেহেতু মায়ের উদ্দেশ্য মহান ছিল, তাই আল্লাহ্ এর কুপ্রভাব থেকে হযরত যুবায়েরকে রক্ষা করেছেন এবং তিনি বড় হয়ে একজন বীর যোদ্ধা হয়েছিলেন। হযরত যুবায়েরের এই চাচা-ই কিন্তু তার ইসলামগ্রহণের পর তাকে ইসলাম-বিমুখ করার জন্য তীব্র অত্যাচার শুরু করে; সে তাকে চাটাইয়ের ভেতর মুড়িয়ে ধোঁয়া দিত যেন তার নিঃশ্বাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। তবুও হযরত যুবায়ের ঈমানে অবিচল থাকেন।
হযরত যুবায়ের ইথিওপিয়ার উভয় হিজরতেই অংশগ্রহণ করেছিলেন; মদীনায় হিজরতের পর প্রথমে তিনি হযরত মুনযের বিন মুহাম্মদের বাড়িতে ওঠেন। তার স্ত্রী হযরত আসমা হিজরতের সময় সন্তানসম্ভবা ছিলেন এবং কুবায় তার পুত্র আব্দুল্লাহ্ বিন যুবায়ের জন্ম নেন, তিনি মুসলমান ঘরে জন্ম নেয়া প্রথম শিশু ছিলেন। মহানবী (সা.) তার তাহনিক করেছিলেন এবং তার জন্য কল্যাণের দোয়া করেছিলেন। হিজরতের পূর্বে মক্কায় মহানবী (সা.) হযরত যুবায়ের ও হযরত আব্দুল্লাহ্ বিন মাসউদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব-সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন; মদীনায় হিজরতের পর মহানবী (সা.) আনসার সাহাবী হযরত সালামা বিন সালামাকে তার ধর্মভাই বানান। হযরত যুবায়ের বিশিষ্ট শহীদ সাহাবীদের নামানুসারে তার পুত্রদের নাম রেখেছিলেন, যেন তাদের নামের কল্যাণে তার পুত্ররাও শাহাদাতের মর্যাদা লাভ করেন।

হযরত যুবায়ের এতটা দীর্ঘকায় ছিলেন যে যখন তিনি ঘোড়ায় চড়তেন, তখন তার পা মাটিতে গিয়ে ঠেকত। হযরত যুবায়েরের পুত্র উরওয়া একবার তার কাছে জানতে চান যে তিনি অন্যান্য বিশিষ্ট সাহাবীদের মত হাদীস বর্ণনা করেন না কেন। উত্তরে তিনি বলেছিলেন, “আমি মহানবী (সা.)-কে একথা বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যক্তি জেনে-বুঝে আমার নাম দিয়ে কোন মিথ্যা কথা বর্ণনা করে, সে জাহান্নামে নিজের ঠিকানা বানিয়ে নেয়।’” একথার অর্থ মোটেও এটি নয় যে যেসব সাহাবীরা হাদীস বর্ণনা করতেন তারা মিথ্যা বর্ণনা করতেন; বরং হযরত যুবায়ের খুবই সতর্ক ছিলেন যেন ভুলক্রমেও এরূপ কিছু তার দ্বারা সংঘটিত না হয়।
হযরত যুবায়ের ইবনুল আওয়াম সেই ব্যক্তি যিনি সর্বপ্রথম নিজের তলোয়ার আল্লাহ্র পথে খাপ থেকে উন্মুক্ত করেছিলেন। মক্কায় থাকাকালীন একদিন তিনি কোন এক উপত্যকায় বিশ্রাম নিচ্ছিলেন, হঠাৎ শুনতে পান যে কেউ বলছে- মুহাম্মদ (সা.)-কে শহীদ করে দেয়া হয়েছে। এটি শুনেই তিনি খোলা তলোয়ার নিয়ে ঘর থেকে বের হন। পথিমধ্যে মহানবী (সা.)-এর সাথে দেখা হয়ে যায়। মহানবী (সা.) তার কাছে সব বৃত্তান্ত শুনে প্রশ্ন করেন, সত্যিই যদি এমনটি হতো তাহলে তিনি কী করতেন। যুবায়ের উত্তরে বলেন, ‘আল্লাহর কসম! আমি সকল মক্কাবাসীকে হত্যা করার সংকল্প করেছিলাম।’ মহানবী (সা.) তার এই আবেগ ও স্পৃহা দেখে তার জন্য বিশেষ দোয়া করেন। হযরত যুবায়ের বদর, উহুদসহ সকল যুদ্ধেই মহানবী (সা.)-এর সাথে অংশগ্রহণ করেছিলেন। উহুদের যুদ্ধের দিন সংকটময় মুহূর্তে যে স্বল্পসংখ্যক সাহাবী রসূলুল্লাহ্ (সা.)-এর সাথে দৃঢ়-অবিচল ছিলেন, হযরত যুবায়ের তাদের অন্যতম; তিনি তখন মৃত্যুর শর্তেও বয়আত করেছিলেন। মক্কা-বিজয়ের দিন মুহাজিরদের তিনটি পতাকার একটি তার হাতে ছিল। তার পুত্র উরওয়া বর্ণনা করেন যে হযরত যুবায়েরের দেহে তিনটি গভীর ক্ষতচিহ্ন ছিল; দু’টি বদরের যুদ্ধে পাওয়া আঘাতের ও একটি ইয়ারমুকের যুদ্ধে পাওয়া আঘাতের ক্ষতচিহ্ন। তিনি যুদ্ধক্ষেত্রে সাধারণতঃ হলুদ পাগড়ি পরতেন; বদরের যুদ্ধের দিনও তা-ই পরেছিলেন। মহানবী (সা.) বলেছিলেন, ফেরেশতারাও তার মতই হলুদ পাগড়ি পরে যুদ্ধক্ষেত্রে অবতীর্ণ হয়েছেন।
হযরত যুবায়ের বর্ণনা করেন, উহুদের যুদ্ধের দিন একজন নারীকে দ্রুতবেগে শহীদদের লাশের দিকে যেতে দেখে রসূলুল্লাহ্ (সা.) তাকে বাধা দিতে বলেন; তিনি ছিলেন যুবায়েরের মা হযরত সাফিয়া। হযরত যুবায়ের দ্রুত ছুটে গিয়ে মা-কে বাধা দিতে গেলে হযরত সাফিয়া তাকে জোরে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন; কিন্তু যখন তাকে বলা হল যে এটি রসূলুল্লাহ্ (সা.)-এর নির্দেশ, তখন তিনি নিরস্ত হন। অপর এক বর্ণনামতে হযরত সাফিয়া ওয়াদা করেন যে তিনি ধৈর্য ধরবেন, তাকে যেন তার ভাই হযরত হামযার লাশ দেখতে দেয়া হয়। মহানবী (সা.) ধৈর্য ধরার শর্তে তাকে হযরত হামযার লাশ দেখতে দেন। পরিখার যুদ্ধের সময় একদিন মহানবী (সা.) বারবার বলছিলেন, ‘আমাকে বনু কুরায়যার খবর এনে দেয়ার কেউ আছে কি?’ মহানবী (সা.) তিনবার এই প্রশ্ন করেন; তিনবারই হযরত যুবায়ের সাড়া দেন যে তিনি এই সেবার জন্য প্রস্তুত। তখন রসূলুল্লাহ্ (সা.) বলেছিলেন, ‘প্রত্যেক নবীর-ই হাওয়ারী থাকেন, আমার হাওয়ারী হল যুবায়ের।’
খায়বারের যুদ্ধে হযরত মুহাম্মদ বিন মাসলামা বিখ্যাত ইহুদী নেতা মারহাবকে হত্যা করেন। এতে তার ভাই ইয়াসের এসে তার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার খোলা চ্যালেঞ্জ দিলে হযরত যুবায়ের এগিয়ে যান। তখন তার মা হযরত সাফিয়া এসে রসূলুল্লাহ্ (সা.)-এর কাছে নিবেদন করেন, আজ হয়তো যুবায়ের শাহাদাত লাভ করতে চলেছে। মহানবী (সা.) বলেন- না, বরং তার হাতে ইয়াসের নিহত হবে; বাস্তবিক তা-ই হয়েছিল। হুনায়নের যুদ্ধের দিনও হযরত যুবায়ের অসাধারণ বীরত্ব প্রদর্শন করেছিলেন এবং কাফের নেতা মালেক বিন অওফ ও তার সঙ্গী-সাথীদের একটি গিরিপথ থেকে পালাতে বাধ্য করেছিলেন। ইয়ারমুকের যুদ্ধে রসূলুল্লাহ্ (সা.)-এর সাহাবীদের অনুরোধে হযরত যুবায়ের শত্রুদের উপর প্রবলবেগে আক্রমণ করে শত্রুব্যূহ ভেদ করে বেরিয়ে যান এবং পেছন ফিরে দেখতে পান যে আর কেউ-ই তার সাথে গতি বজায় রাখতে পারেন নি, আর তিনি একাই শত্রুদের মধ্যে ঢুকে পড়েছেন। তিনি যখন ফিরে আসতে যান, তখন কাফেররা তার ঘোড়ার লাগাম ধরে ফেলে এবং আক্রমণ করে তার কাঁধে দু’টি ক্ষত করে দেয়, যার মধ্যে একটি সেই গভীর ক্ষতটির উপরে লেগেছিল যেটি বদরের যুদ্ধের দিন তার কাঁধে সৃষ্টি হয়েছিল। সিরিয়া বিজয়ের পর যখন হযরত আমর বিন আস আলেকজান্দ্রিয়া আক্রমণের সংকল্প করেন, তখন হযরত উমরের কাছে আরও সেনা প্রেরণের জন্য লিখেন। হযরত উমর দশ হাজার সৈন্য ও চারজন সেনাপতি পাঠান এবং বলেন, এই চারজনের প্রত্যেকেই এক হাজার সৈন্যের সমান; তাদের একজন ছিলেন হযরত যুবায়ের। হযরত যুবায়েরের মাধ্যমেই খ্রিস্টানদের দূর্গগুলোর পতন ঘটে। হযরত উমরের মৃত্যুর পর খিলাফত কমিটির মাধ্যমে পরবর্তী খলীফার নির্বাচনের ঘটনাও হুযূর (আই.) তুলে ধরেন। হুযূর বলেন, হযরত যুবায়েরের স্মৃতিচারণ পরবর্তীতেও চলমান থাকবে (ইনশাআল্লাহ্)।
খুতবার শেষদিকে হুযূর সম্প্রতি পরলোকগত কয়েকজন নিষ্ঠাবান আহমদীর গায়েবানা জানাযার ঘোষণা দেন ও তাদের সংক্ষিপ্ত স্মৃতিচারণ করেন। তাদের মধ্যে প্রথম হলেন পেশোয়ার-নিবাসী মোকাররম মাহমুদ আহমদ সাহেবের পুত্র শহীদ মিরাজ আহমদ সাহেব, যাকে গত ১২ আগস্ট রাত ৯টায় বিরোধীরা তার মেডিকেল স্টোরের সামনে গুলি করে শহীদ করে (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

প্রসঙ্গতঃ হুযূর বলেন যে পাকিস্তানে আজকাল আহমদীয়াতের বিরোধিতা খুব তীব্র আকার ধারণ করেছে; হুযূর (আই.) জামাতের সদস্যদেরকে অনেক বেশি পরিমাণে দরূদ শরীফ, ‘রাব্বি কুল্লু শাইয়িন খাদেমুকা- রাব্বি ফাহ্ফাযনি ওয়ানসুরনি ওয়ারহামনি’ এবং ‘আল্লাহুম্মা ইন্না নাজআলুকা ফি নুহূরিহিম ওয়া নাউ’যুবিকা মিন শুরূরিহিম’ দোয়া দু’টো পড়ার আহ্বান জানান।

দ্বিতীয় জানাযা নারওয়াল-নিবাসী মুহাম্মদ নাসের আহমদ ডোগর সাহেবের পুত্র মুরব্বী সিলসিলাহ্ আদীব আহমদ নাসের সাহেবের, যিনি গত ৯ আগস্ট অল্প কিছুদিন অসুস্থ থাকার পর মাত্র ২৭ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন; তৃতীয় জানাযা শেখ মুহাম্মদ হুসেন সাহেবের পুত্র মোকাররম হামিদ আহমদ শেখ সাহেবের, যিনি গত ১২ আগস্ট হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ৮৫ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। হুযূর (আই.) তাদের প্রত্যেকের রূহের মাগফিরাত কামনা করেন ও জান্নাতে তাদের পদমর্যাদা উন্নত হওয়ার জন্য দোয়া করেন। (আমীন)
[ হুযূরের খুতবা সরাসরি ও সম্পূর্ণ শোনার কখনোই কোন বিকল্প নেই ]

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




This site is not the official site of Ahmadiyya Muslim Jamat. This site has been created by a follower of Hazrat Imam Mahdi (PBUH) only for share the message of Mahdi(pbuh)
আহমদীয়া মুসলিম জামাত সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে Alislam.org