November 16, 2024, 7:06 am
হযরত মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী (আঃ) বলেন: বর্তমান শতাব্দীর ধর্ম-সংস্কারকরুপে অবতীর্ণ হইয়াছি বলিয়া আমার যে দাবী, তাহা সহজেই বুঝা যায় । আমি জোরের সহিত বলিতেছি যে, আল্লাহ তা’লা আমাকে মামূর (আদিষ্ট ধর্ম সংস্কারক) করিয়াছেন । আমার এই দাবির পর বাইশ (বর্তমানে ১৩০) বৎসরের বেশী সময় অতীত হইয়াছে । এই দীর্ঘ সময় ধরিয়া আমি আল্লাহ তা’লার সাহায্য পাইতেছি । তোমাদিগকে দোষী সাব্যস্ত করিবার জন্য আল্লাহ তা’লার পক্ষ হইতে ইহা যথেষ্ট । কারণ, অনাচার দুর করিব বলিয়া আমি যে মুজাদ্দিদ হইবার দাবি করিয়াছি, তাহা কুরআন ও হাদীস দ্বারা সাব্যস্ত । আজ যাহারা আমাকে মিথ্যাবাদী বলে বস্তুতঃ তাহারা আমাকে মিথ্যাবাদী বলে না, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সাঃ) কে মিথ্যাবাদী বলে । আমার স্থলে আর কাহাকেও ধর্ম-সংস্কারকরুপে না দেখাইয়া দিয়া, আমাকে মিথ্যাবাদী বলিবার অধিকার তাহাদের নাই । কারণ সর্বত্র অনাচার দেখা দিয়াছে এবং যুগের অবস্থা বলিয়া দিতেছে যে, ধর্ম সংস্কারকের আবির্ভাব আবশ্যক । কুরআন শরীফ সাক্ষ্য দেয় যে, এইরুপ অনাচারের সময় উহার হেফাজতের জন্য ধর্ম-সংস্কারক আসিয়া থাকেন । হাদীস বলিয়া দেয় যে, প্রত্যেক একশত বৎসরের মাথায় মুজাদ্দিদ আসেন ।”
“আমার দাবী মানবার স্বপক্ষে খোদাতালা বহু প্রমাণ দিয়াছেন। কিন্তু আমি তোমাকে এ কথা বলিনা যে, তুমি কেবল ঐগুলো চিন্তা করে দেখ এবং বুঝতে চেষ্ঠা কর। যদি প্রমাণসমূহ চিন্তা করে দেখবার ও বুঝবার সুযোগ না পাও, কিংবা ইহার প্রয়োজন বোধ না কর অথবা যদি মনে কর তোমার বিবেক এর সঠিক মীমাংসা করতে ভুল করতে পারে, তোমার মনোযোগ আরেক দিকে আকর্ষণ করছি । তুমি খোদার কাছে আমার বিষয়ে দোয়া কর এবং খোদাতালার নিকট সঠিক নির্দেশ প্রার্থী হও এবং বল: “হে খোদা! এই ব্যক্তি যদি সত্যবাদী হন, তবে আমাকে সত্য পথ দেখাও, কিন্তু যদি মিথ্যাবাদী হয় তবে আমাকে তার নিকট হতে দূরে রাখ।” তিনি বলেছেন, যদি কেহ সত্য মন নিয়ে এবং বিদ্বেষমুক্ত হয়ে খোদার নিকট এভাবে কিছুদিন দোয়া করে, তবে নিশ্চয় তার জন্য হেদায়েতের দ্বার উম্মুক্ত হবে এবং আমার সত্যতা তার নিকট দেদীপ্যমান হয়ে উঠবে। সহস্র মানুষ এ পন্থা অবলম্বন করে খোদার নিকট হতে আলোক প্রাপ্ত হয়েছেন। ইহা কত জাজ্জ্বল্যমান প্রমাণ। মানুষ নিজে বুঝতে ভুল করতে পারে, কিন্তু খোদাতালা কখনো স্বীয় পথ প্রদর্শনে ভুল করতে পারেন না।”
Leave a Reply