November 19, 2024, 1:33 pm
নিখিলবিশ্ব আহমদীয়া মুসলিম জামাতের পঞ্চম খলীফা হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.) গত ২৫শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ ইসলামাবাদের মসজিদে মুবারকে প্রদত্ত জুমুআর খুতবায় পূর্বের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে মহানবী (সা.)-এর নিষ্ঠাবান বদরী সাহাবী হযরত বিলাল (রা.)-এর পুণ্যময় জীবনের স্মৃতিচারণ করেন।
তাশাহহুদ, তাআ’ব্বুয ও সূরা ফাতিহা পাঠের পর হুযূর (আই.) বলেন, গত শুক্রবার বদরী সাহাবী হযরত বিলাল (রা.)-এর স্মৃতিচারণ করা হচ্ছিল। হযরত বেলাল (রা.) সম্পর্কে একটি হাদীসে আব্দুল্লাহ্ বিন বুরায়দাহ্ (রা.) বর্ণনা করেন, একদিন প্রত্যুষে মহানবী (সা.) হযরত বেলাল (রা.)-কে ডেকে জিজ্ঞেস করেন, বেলাল! তুমি জান্নাতে আমার অগ্র্রে থাকো এর কারণ কী? গতকাল সন্ধ্যায় আমি যখন জান্নাতে প্রবেশ করি তখন আমি আমার অগ্রে তোমার পদশব্দ শুনেছি। হযরত বেলাল (রা.) নিবেদন করেন, আমি যখনই আযান দেই তখন দু’রাকাত নফল নামায পড়ি আর যখনই আমার অযু ভেঙ্গে যায় আমি (আবার) অযু করে নেই। আর আমি মনে করি, আল্লাহর পক্ষ থেকে আমার জন্য দু’রাকাত (নামায) পড়া ওয়াজীব বা আবশ্যক হয়ে গেছে। একথা শুনে মহানবী (সা.) বলেন, ‘তাহলে এটিই কারণ’।
অন্য আরেকটি হাদীসে হযরত আবু হুরায়রাহ্ (রা.) বর্ণনা করেন, মহানবী (সা.) প্রভাতের নামাযের সময় হযরত বেলাল (রা.)-কে বলেন, বেলাল আমাকে বল, ইসলাম (গ্রহণের পর) তুমি সবচেয়ে আশাব্যঞ্জক কোন কর্মটি করেছ, কেননা আমি বেহেশ্তে নিজের অগ্রে তোমার পদশব্দ শুনেছি। হযরত বেলাল (রা.) বলেন, সম্প্রতি আমি এর চেয়ে আশাব্যঞ্জক আর কোন কাজ করিনি অর্থাৎ, দিবারাতে যখনই আমি অযু করেছি তখন আমি সেই অযু-অবস্থায় অবশ্যই নামায পড়েছি, যতটুকু পড়া আমার জন্য সম্ভব ছিল।
হুযূর (আই.) বলেন, একথার অর্থ কোনভাবেই এটি নয় যে, মহানবী (সা.)-এর চেয়ে তার মর্যাদা বেশি; বরং এর অর্থ হল, হযরত বেলাল (রা.)’র পবিত্রতা ও গোপন ইবাদতের কারণে আল্লাহ্ তা’লা তাকে পৃথিবীর মত জান্নাতেও মহানবী (সা.)-এর সহচর হওয়ার মর্যাদা দান করবেন। বিগত খুতবাতেও যেমনটি বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি ঈদের দিন বর্শা নিয়ে মহানবী (সা.) সামনে সামনে হাঁটতেন, জান্নাতেও তিনি মহানবী (সা.)-এর এমন সেবা করার সুযোগ লাভ করবেন।হযরত মির্যা বশীর আহমদ সাহেব (রা.) হযরত বেলাল (রা.) সম্পর্কে লিখেছেন, হিজরতের পর মদীনায় আযান দেয়ার দায়িত্ব তার ওপরই অর্পিত হয়েছিল; কিন্তু মহানবী (সা.)-এর তিরোধানের পর তিনি আযান দেয়া ছেড়ে দেন। হযরত উমর (রা.)’র যুগে যখন মুসলমানরা সিরিয়া জয় করেন, তখন হযরত উমর (রা.)’র অনুরোধে তিনি আযান দেন, যার ফলে মদীনায় সবার মহানবী (সা.)-এর যুগের কথা মনে পড়ে যায়। হযরত বেলাল, হযরত উমর এবং অন্যান্য সাহাবীরা সবাই কান্নায় ভেঙে পড়েন। হযরত উমর (রা.)’র তাকে এত ভালোবাসতেন যে তিনি হযরত বেলালের মৃত্যুতে বলেছিলেন, ‘আজ মুসলমানদের নেতা চলে গেলেন।’ একজন কৃষ্ণাঙ্গ ক্রীতদাস সম্পর্কে যুগ-সম্রাট এই মন্তব্য করেছিলেন!
হযরত খলীফাতুল মসীহ্ সানী (রা.) একবার সূরা কাহাফ এর ৪৭ নাম্বার আয়াত অর্থাৎ, “ধন-সম্পদও সন্তান-সন্ততি পার্থিব জীবনের সৌন্দর্য বটে কিন্তু স্থায়ী সৎকর্মসমূহ তোমার প্রভু-প্রতিপালকের দৃষ্টিতে পুরস্কারের দিক দিয়েও উত্তম এবং ভবিষ্যৎ আশার দিক দিয়েও উৎকৃষ্টতর।”হযরত বেলাল (রা.)’র উল্লেখ করে উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় হুযূর (রা.) বলেন, খোদার উদ্দেশ্যে নিবেদিত কাজই থেকে যাবে। আজ কেউই জানে না যে, আবু হুরায়রাহ্ (রা.)’র সন্তানরা কোথায় আর তার বাড়িই বা কোথায়? কিন্তু সবাই তার নাম উচ্চারণের সময় বলে, হযরত আবু হুরায়রাহ্ (রা.)। সম্প্রতি একজন এসে বলল সে নাকি হযরত বেলাল (রা.)’র বংশধর! আমার মন চাচ্ছিল তার সাথে মিশে যেতে কেননা, ইনি এমন একজনের বংশধর যিনি মহানবী (সা.)-এর মসিজদে আযান দিয়েছিলেন। আজ বেলাল (রা.)’র সন্তান-সন্ততি বা সহায়-সম্পদ কি আছে তা কেউ না জানলেও এটি জানে যে, তিনি মহানবীর মসজিদে আযান দিয়েছিলেন- আর আজ এটিই সবার হৃদয়ে সম্মানের সাথে স্থান করে নিয়েছে।
হযরত বেলাল (রা.) ৪৪টি হাদীস বর্ণনা করেছেন। এরমধ্যে বুখারী ও মুসলিমে ৪টি হাদীস স্থান পেয়েছে। তন্মধ্যে একটি হাদীস হল, মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘জান্নাত তিনজনের সাথে সাক্ষাতের জন্য ব্যাকুল হয়ে আছে, অর্থাৎ হযরত আলী, আম্মার ও বেলাল।’
একবার হযরত উমর (রা.) হযরত আবু বকর (রা.)’র মর্যাদা বর্ণনা করছিলেন; তার মর্যাদা উল্লেখ করতে গিয়ে হযরত উমর (রা.) এক পর্যায়ে বেলাল (রা.)’র প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, বেলাল আমাদের নেতা এবং হযরত আবু বকরের পুণ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম। কারণ হযরত আবু বকর (রা.) তাকে দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করেছিলেন।
একবার আবু সুফিয়ান মদীনায় হযরত সালমান, হযরত বেলাল এবং হযরত সুহেইব (রা.)’র কাছে আসেন। তখন উপস্থিত লোকেরা বলে, আল্লাহর কসম! আল্লাহর তরবারী এখনও তার শত্রুর ঘাড়ের ওপর আঘাত হানে নি! হযরত আবু বকর (রা.) বলেন, তোমরা কি কুরাইশদের সম্মানিত নেতা সম্পর্কে এমন কথা বলছ? এরপর তিনি মহানবী (সা.)-এর সমীপে উপস্থিত হন এবং কিছুটা অভিযোগের সুরে এ বিষয়টি বর্ণনা করেন। মহানবী (সা.) উল্টো বলেন, হে আবু বকর! হতে পারে তোমার কথায় তারা মনে দুঃখ পেয়েছে। যদি তা হয়ে থাকে, তবে নিঃসন্দেহে তুমি আল্লাহ্ তা’লাকেও অসন্তুষ্ট করেছ। হযরত আবু বকর (রা.) তৎক্ষণাৎ তাদের কাছে ফিরে যান ও ক্ষমা চেয়ে বলেন, হে প্রিয় ভাইয়েরা, তোমরা কি আমার প্রতি অসন্তুষ্ট হয়েছ? তারা বলেন, ‘না না, হে আমাদের ভাই, আল্লাহ্ আপনাকে ক্ষমা করুন! আপনি আমাদের অসন্তুষ্ট করেন নি।
হযরত আলী (রা.) বর্ণনা করেন, মহানবী (সা.) বলেছেন, সব নবীকে আল্লাহ্ তা’লা সাতজন নকীব দান করেছেন, আমাকে দিয়েছেন দ্বিগুণ অর্থাৎ চৌদ্দজন। হযরত আলী (রা.) বলেন, আমি, আমার দু’পুত্র, জাফর, হামযা, আবু বকর, উমর, মুসআব বিন উমায়ের, বেলাল, সালমান, মিকদাদ, আবু যার, আম্মার ও আব্দুল্লাহ্ বিন মাসঊদ রাযিআল্লাহু আনহুম।যায়েদ বিন আরকাম (রা.) বর্ণনা করেন, মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘বেলাল কতই না উত্তম ব্যক্তি, সে সকল মুয়ায্যিনের নেতা। তার অনুসরণকারীরা শুধু মুয়ায্যিনই হবে না বরং কিয়ামত দিবসে দীর্ঘ গ্রীবার অধিকারী মুযায্যিন হবে।’
আরেক বর্ণনায় বলেছেন, ‘বেলাল কতইনা উত্তম মানুষ আর শহীদ ও মুয়ায্যিনদের নেতা। কিয়ামত দিবসে সবচেয়ে দীর্ঘ গ্রীবার অধিকারী হবে বেলাল (রা.) অর্থাৎ তিনি অনেক সম্মানের আসন লাভ করবেন।’
মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘বেলালকে জান্নাতের উটনীগুলো হতে একটি উটনী দেওয়া হবে।’ একবার তিনি হযরত বেলাল (রা.)’র বাড়ি গিয়ে তার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করেন, সে কি বাড়িতে আছে? তার স্ত্রী বলেন, তিনি এখনও বাড়িতে আসেন নি। মহানবী (সা.) বলেন, মনে হচ্ছে, তুমি বেলালের প্রতি অসন্তুষ্ট। তার স্ত্রী বলেন, তিনি আমাকে ভালোবাসেন ঠিকই কিন্ত সব কথায় বলেন, মহানবী (সা.) এটি বলেছেন, সেটি বলেছেন। হুযূর (সা.) বেলালের স্ত্রীকে বলেন, আমার বরাতে বেলাল তোমাকে যা-ই বলে তা সত্য বলে, সে তোমাকে ভুল বলবে না। তুমি বেলালের প্রতি কখনো অসন্তুষ্ট হয়ো না আর বেলাল তোমার প্রতি অসস্তুষ্ট থাকা পর্যন্ত তোমার কোন আমল গৃহীত হবে না।
মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘বেলালের উপমা মৌমাছির মত। যে সুমিষ্ট ফল এবং তিক্ত ফুল দু’টোর ওপরই বসে এবং নির্যাস গ্রহণ করে কিন্তু যখন তা মধুতে রূপ নেয় তখন এর পুরোটাই হয় সুমিষ্ট।’
মহানবী (সা.) বলেন, ‘হে বেলাল, গরীব অবস্থায় মৃত্যুবরণ করো, ধনী অবস্থায় মৃত্যুবরণ করো না। তিনি বলেন, হে আল্লাহর রসূল! এটা কীভাবে সম্ভব? মহানবী (সা.) বলেন, যে রিযক তোমাকে দেয়া হয়, তা জমিয়ে রেখো না; আর তোমার কাছে কেউ কিছু চাইলে তাকে নিষেধ করো না। এমনটি করলে আগুন হবে তোমার ঠিকানা।’
হযরত উমর (রা.)’র খিলাফতকালে বিশ হিজরীতে সিরিয়ার দামেস্কে হযরত বেলাল (রা.) ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ষাটের অধিক। কারো কারো মতে তিনি অষ্টাদশ হিজরীতে মৃত্যুবরণ করেন। দামেস্কের বাবুস্ সগীরের নিকটস্থ কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।
হযরত খলীফাতুল মসীহ্ সানী (রা.) হযরত বেলাল (রা.)’র পদমর্যাদা সম্পর্কে বলেন, বেলাল আবিসিনিয়ার অধিবাসী ছিলেন, আরবী যথাযথভাবে উচ্চারণ করতে পারতেন না। আরবী বলার সময় অনেক ভুল করতেন। আবিসিনিয়ার লোকেরা শীন’কে সীন বলতো। বেলাল যখন আযান দিতেন তখন তিনি ‘আশহাদু’কে ‘আসহাদু’ বলতেন, এটি শুনে জাতিগত অহংকারের কারণে আরবরা হাসত অথচ আরবরাও বিদেশী ভাষার অনেক শব্দ উচ্চারণ করতে অপারগ ছিল, অথাৎ ‘ট’ বা ‘চ’ এর উচ্চারণ তারা করতে পারে না। এরূপ হাসাহাসি দেখে মহানবী (সা.) তাদেরকে এরূপ করতে বারণ করেন। মহানবী (সা.) সবাইকে সমানভাবে ভালোবাসতেন। মহানবী (সা.) বলেছিলেন, আমার কাছে আরব ও অনারবে কোন পার্থক্য নেই।
হুযূর (আই.) বলেন, ইনি হলেন সৈয়্যদনা হযরত বেলাল (রা.), যিনি তার মনীব ও নেতার প্রতি ভালোবাসা ও নিষ্ঠা এবং আল্লাহ্ তা’লার একত্ববাদের ঘোষণা ও কার্যতঃ তা পালনের সেই দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, যা আমাদের জন্য অনুকরণীয় আদর্শ। আজও আমাদের মুক্তি আল্লাহ্ তা’লার একত্ববাদ প্রতিষ্ঠায় এবং হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ভালোবাসায় এই মহান ব্যক্তির আদর্শ অনুসরণের মাঝে নিহিত, আল্লাহ্ তা’লা আমাদেরকে সেই সামর্থ্য ও সৌভাগ্য দান করুন। (আমীন)
খুতবার শেষদিকে হুযূর (আই.) ৫টি গায়েবানা জানাযা পড়ানোর ঘোষণা দেন এবং মরহুমদের স্মৃতিচারণ করেন। তাদের মধ্যে প্রথমজন হলেন, ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর মুবাল্লিগ মওলানা তালেব ইয়াকুব সাহেব। গত ৮ সেপ্টেম্বর ৬৩ বছর বয়সে তিনি ইন্তেকাল করেন। ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজেউন। তিনি ৮৯ সালে রাবওয়ার জামেয়া থেকে পাশ করেন এবং আমৃত্যু জামাতের মূল্যবান সেবা করে গেছেন।
২য় জানাযা হল, ইঞ্জিনিয়ার ইফতেখার আলী কুরাইশি সাহেবের, যিনি প্রাক্তন উকিলুল মাল সালেস এবং মজলিসে তাহরীকে জাদীদের নায়েব সদর ছিলেন। ৩রা জুন ৯৯ বছর বয়সে তিনি ইন্তেকাল করেন। ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজেউন। তিনি ১৯৮০ থেকে প্রায় ২৫ বছর ফযলে উমর ফাউন্ডেশনের পরিচালক ছিলেন। চারজন খলীফার যুগ পেয়েছেন এবং ৩৭ বছর ওয়াকফে যিন্দেগী হিসেবে জামাতের মূল্যবান সেবা করার সৌভাগ্য লাভ করেছেন।
তৃতীয় জানাযা হল, মোহতরম হাকিম মৌলভী খুরশিদ আহমদ সাহেবের সহধর্মিনী রাজিয়া সুলতানা সাহেবার, তিনি ৮১ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন।ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজেউন।
৪র্থ জানাযা হল, কাদিয়ানের নায়েব নাযের বায়তুল মাল মোকাররম তাহের আহমদ সাহেবের। তিনি লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৫৭ বছর বয়সে ২৮শে মে কাদিয়ানে ইন্তেকাল করেন। ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজেউন। তিনি জামাতের মুবাল্লিগ ছিলেন এবং ১৯৮৯ সাল থেকে আমৃত্যু জামাতের মূল্যবান সেবার তৌফিক লাভ করেছেন।
৫ম জানাযা হল, জামেয়া ইন্টারন্যাশনাল ঘানার শিক্ষক মির্যা খলীল বেগ সাহেবের পুত্র ¯স্নেহের আকীল আহমদের। মাত্র তের বছর বয়সে টিউমারে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করে। সে ছয় পাড়া কুরআন মুখস্ত করেছিল আর বড় হয়ে জামেয়ায় পড়াশোনা করে মুরব্বী হওয়ার বাসনা রাখতো। হুযূর বলেন, এছাড়া আরো অনেকেই গায়েবানা জানাযা পড়ানোর জন্য বলেন, আমি তাদেরকে আজকের জানাযায় যুক্ত করে নিচ্ছি। আল্লাহ্ তা’লা সকল মরহুমকে ক্ষমা করুন আর তাদের পদমর্যাদা উন্নীত করুন আর তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারকে প্রয়াতদের সৎকাজগুলোকে ধরে রাখার তৌফিক দিন, আমীন।
[ হুযুরের খুতবা সম্পূর্ণ শোনার কখনোই কোন বিকল্প নেই, আমরা সময়ের প্রতি লক্ষ্য রেখে খুতবার সারমর্ম উপস্থাপন করছি মাত্র। আপনাদেরকে হুযূরের পুরো খুতবাটি শোনার অনুরোধ রইল। হুযূরের খুতবাটি পুরো শুনতে পাবেন আমাদের এমটিএ’র নিয়মিত ওয়েবসাইট অর্থাৎ, www.mta.tv এবং আমাদের কেন্দ্রীয় বাংলা ওয়েবসাইট www.ahmadiyyabangla.org -এ]
Leave a Reply